দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানী কুদরত-ই-খুদা-কে প্রধান করে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন ১৯৭২ সালে গঠন করা হয়। এই কমিশন ১৯৭২ সালে তাদের রির্পোট দাখিল করে। দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে এই রির্পোট প্রণয়ন করা হয়। রির্পোট তৈরিতে সমসাময়িক বিশ্বের অন্যান্য দেশের অবস্থা ও বিবেচনা করা হয়। কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রির্পোটে বাংলাদেশের নতুন প্রণীত সংবিধানের মৌলিক বিষয় প্রতিফলিত হয়। রির্পোটটি পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অনিবার্যকারণবশত: কমিটি’র সুপারিশ বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। এই কমিশনের সুপারিশের আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং সিলেবাস প্রণয়নের জন্য দেশের ৪৭ জন সুনামধন্য শিক্ষাবিদকে নিয়ে প্রফেসর সামছুল হুদা কে প্রধান করে ১৯৭৬ সালে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১৯৭৬, ১৯৭৭ এবং ১৯৮৮ সালে মোট ৭টি ভলিউমে রির্পোট সরকারের নিকট দাখিল করে।
কুদরত-ই-খুদা কমিশন প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সুপারিশ করে। কমিশনের রির্পোট অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষা হবে ৮ বছর (ক্লাস-I থেকে ক্লাস-VIII) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা হবে ৪ বছর (ক্লাস-IX থেকে ক্লাস-XII) এবং উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স এবং ১ বছরের মাস্টার্স কোর্সের সুপারিশ করা হয়। কারিকুলাম, সিলেবাস এবং পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে কমিশন প্রাথমিক স্তরে যোগ্যতাভিত্তিক একইরূপ কারিকুলামের সুপারিশ করে। শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গ্রেডিং পদ্ধতি প্রবর্তনের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়।